Admission
ই-মার্কেটিং - ই-মার্কেটের সম্ভাব্যতা ও সম্ভাবনা - ই-মার্কেটের ভবিষ্যৎ চাহিদা নিরূপণ পদ্ধতিসমূহ

বিশ্বব্যাপী যারা অনলাইনে পণ্য বা সেবাসামগ্রী ক্রয় করছে অথবা ভবিষ্যতে কেনার আগ্রহ রয়েছে এরূপ দু'ধরনের ক্রেতাদের সমন্বয়ে ই-মার্কেট গঠিত। ই-মার্কেটের ভবিষ্যৎ চাহিদা নিরূপণ করা ততটা সহজ কাজ নয়। কতগুলো পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে ই-মার্কেটের ভবিষ্যৎ চাহিদা নিরূপণ করা যেতে পারে, যেগুলো সম্পর্কে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

১. বাজারকে সংজ্ঞায়িতকরণ (Defining the market): এক্ষেত্রে মার্কেট বা ই-মার্কেট বলতে কী বোঝানো হয়েছে তা প্রথমেই যথাযথভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে। বাজার বা মার্কেটকে সংজ্ঞায়িত করা না গেলে কোনোভাবেই মার্কেটের ভবিষ্যৎ চাহিদা নিরূপণ করা সম্ভব নয়।

২. লক্ষ্য চিহ্নিতকরণ (Identifying goals): ই-মার্কেটের ভবিষ্যৎ চাহিদা নিরূপণের প্রধান লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কী তা এ ধাপে চিহ্নিত করতে হবে। কেননা, লক্ষ্য নির্ধারণ করা না হলে যথাযথভাবে কার্য সম্পাদন করা সম্ভব নয়। ই-মার্কেটের ভবিষ্যৎ চাহিদা নিরূপণের একাধিক লক্ষ্য থাকতে পারে। যেমন—আগামী সময়ের ক্রেতাদের জন্য তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তৈরি করা, এটি একটি লক্ষ্য হতে পারে।

চিত্র : লক্ষ্য চিহ্নিতকরণ

৩. ই-মার্কেট গবেষণা (E-market research): ই-মার্কেটের ভবিষ্যৎ চাহিদা নিরূপণের অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি হলো মার্কেট রিসার্চ করা। এজন্য যথাযথ ও পর্যাপ্ত তথ্যের প্রয়োজন। অসংখ্য অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উপাদান এক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। 

৪. তথ্য এবং উপাত্ত মূল্যায়ন (Evaluating information and data): বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও উপাত্তসমূহ বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে ই-মার্কেটের ভবিষ্যৎ চাহিদা সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা যায় । 

৫. সার্চ-ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন টুলস এর ব্যবহার (Using search engine optimization tools ) : গুগল সার্চ ইঞ্জিনসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গুগলে সার্চ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।

৬. সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার (Using social media): ই-মার্কেটের ভবিষ্যৎ চাহিদা নিরূপণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন- ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি।

Content added By
Promotion